রি-হায়ারিং রেজিস্ট্রেশন

                       সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি I


গতকাল রাত থেকে নাকি মালয়শিয়ান সরকার ফিঙ্গারপ্রিন্টের ঘোষণা দিয়েছে। এই নিয়ে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়ছে মালয়শিয়াতে আমাদেরই কিছু বাংলাদেশী পেইসবুক পেইজের এডমিনরা তাঁরা ঢালাও ভাবে প্রচার করছে মাই ইজির বিজ্ঞাপন যেখানে কিছু চায়নিজ, মালায়ু ও তামিলরাও ঐক্যবদ্ধ। এসব পোস্ট দেখে অবৈধ যারা এখানে আছে তাঁরা সবাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ আমি নিজেই বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক কর্মকর্তার সাথে ফোন কথা বলে জানতে পারলাম, মালয়শিয়ান সরকার তাদের এখনও অফিসিয়ালি কোন নোটিশ পাঠায়নি ফিঙ্গারপ্রিন্টের ব্যপারে, ওনি আরও বলেছেন এটা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী I
আপনারা যারা বৈধ হওয়া নিয়ে ভাবছেন তাদের সবাইকে বলতে চাই কোন কিছু করার আগে বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়ে আপনার বিস্তারিত কথা গুলো ওনাদের সাথে শেয়ার করুন তাঁরাই আপনাকে সত্যিকারের পথ দেখাতে সহায়ক হবে।
আপনি রি-হায়ারিং এ অংশ নিতে পারবেন কিনা তা একমাত্র বাংলাদেশ হাই কমিশনই বলতে পারবে কারণ মালয়শিয়ান সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাদের সমস্ত তথ্য ও শর্তাবলী জানিয়ে দিয়েছে।

                                রি-হায়ারিং রেজিস্ট্রেশন

রি-হায়ারিং রেজিস্ট্রেশন যাদের জন্য প্রযোজ্য হবে কেবল তারাই এখন রেজিস্ট্রেশন করবেন বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া হলোঃ
বাংলাদেশসহ ১৫টি সোর্স কান্ট্রিকে একটি গ্রুপে এবং ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমারকে আলাদা গ্রুপের অন্তর্ভূক্ত করে এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পাঁচটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ যে গ্রুপে পড়েছে, সে গ্রুপের দেশগুলোর শ্রমিকদের নিবন্ধনের দায়িত্ব পেয়েছে মাইইজির নেতৃত্বে পিএমএফ কনসোর্টিয়াম।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিবন্ধনের জন্য দু’টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এর একটি এমপ্লয়মেন্ট, অপরটি ট্যুরিস্ট বা সোশ্যাল ভিজিট। এমপ্লয়মেন্ট সেক্টরটি শ্রমিকদের জন্য।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ক্যাটাগরি-এ’র অধীনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় গেছেন এবং এখনও সে প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছেন কিন্তু ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অবস্থান করছেন, তারা নিবন্ধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা ওই প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকের মাধ্যমে নিবন্ধন করে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভিসা নবায়ন করতে পারবেন।
অপরদিকে, যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেছেন এবং ছয়মাসের বেশি সময় ধরে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অবস্থান করছেন, তারাও নিবন্ধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা বর্তমান প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকের মাধ্যমে নিবন্ধন করে তিন বছর পর্যন্ত ভিসা নবায়ন করতে পারবেন।
ক্যাটাগরি-বি’র অধীনে পড়বেন স্যোশাল ভিজিট বা ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে যারা থেকে গেছেন। যদি ২০১৫ সালের আগস্ট মাস থেকে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে থাকে, তাহলে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন তারা। এক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত হবে, তা নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানই ঠিক করবে।

No comments:

Post a Comment