এমআরপির জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন কার্যালয়ে দীর্ঘ লাইন

         এমআরপির জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন কার্যালয়ে দীর্ঘ লাইন !

অবৈধ পাসপোর্ট বৈধ করতে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিড় করছেন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা। একদিনেই ডিজিটাল পাসপোর্টের জন্য ৬শ আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।
মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ঘোষণার প্রথম দিকে সাড়া না পাওয়া গেলেও গত শনিবার থেকে দূতাবাসে আসছেন অনেকেই।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় তিন লাখসহ অন্যান্য দেশের ২০ লাখেরও বেশি অবৈধ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় আছেন যাদের বৈধভাবে কাজের কোনো অধিকার নেই। এ অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করতে বাংলাদেশসহ ১৫টি সোর্স কান্ট্রিকে ১টি গ্রুপে এবং ইন্দোনেশিয়া-মিয়ানমারকে আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য মোট ৫টি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে দেশটির সরকার।
মালয়েশিয়ান রি হাইয়ারিং প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিবন্ধনের জন্য ২টি সেক্টরে ভাগ করেছে, একটি এমপ্লয়মেন্ট বা শ্রমিকদের অন্যটা ট্যুরিস্ট বা সোশ্যাল ভিজিট। আর এ কারণে অবৈধ শ্রমিকরা ডিজিটাল পাসপোর্ট করতে হাইকমিশনে আসছেন।
এদিকে এই এমআরপিকে কেন্দ্র করে দূতাবাসের আশপাশে দালালদেরও আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিন গতকাল দূতাবাসে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

এদিন শ্রমিকদেরকে বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে দেখা গেছে। আবেদনকারীরা বলছেন, এতদিন পুলিশের ভয়ে দূতাবাসে আসতে পারিনি। এখনও ভয় কাটছে না। তবে না এসে উপায় নেই। পাসপোর্ট না করলে বৈধ হতে পারবো না। তাই দীর্ঘ লাইনে থেকেও পাসপোর্ট করতে কোনো ক্লান্তি নেই তাদের।

এখনো কয়েক লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) হাতে পাননি। এমন পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে এমআরপি প্রদানে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সম্প্রতি মোবাইল ক্যাম্পিংয়েরও উদ্যোগ নিয়েছিল। তাও সফল হয়নি। হাইকমিশনের হিসেব অনুযায়ী সে দেশে পাঁচ লাখ এমআরপির মধ্যে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখের কাছাকাছি দেয়া সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এমএসকে শাহীন বলেন, শ্রমিকদের হাতে দ্রুত পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে হাইকমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবেদনের জন্য আগতদের কাউকে ফেরত না পাঠিয়ে একদিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দালাল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি দালালদের সঙ্গে কোনো প্রকার লেনদেন না করতে। এর পরেও যদি কেউ লেনদেন করে ধরা পড়ে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সকলের কাছে এমআরপি পৌঁছে দিতে হাইকমিশন এলাকাভিত্তিক মোবাইল ইউনিট পরিচালনা শুরু করে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম মোবাইল ইউনিটটি জহুরবারু থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। দূতাবাস সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
লাইক ও শেয়ার দিয়ে পরবর্তি আপডেট পেতে সাথেই থাকুন।


No comments:

Post a Comment