খুব শীঘ্রই প্রবাসীদের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে !
দক্ষ জনশক্তি গড়ার পাশাপাশি প্রবাসে কর্মরত এবং প্রবাস ফেরত কর্মীদের ইউনিয়নভিত্তিক ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
বুধবার কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ র্কমর্কতা মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উক্ত কেন্দ্রের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন।
মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াকে দালালচক্র মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মোটিভেশনাল মিটিং করতে হবে। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ডাটাবেজ করে কোন দেশে কারা কর্মরত তা নিয়মিত হালনাগাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজার সভায় সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অটোমেটিক জেনারেল ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কসপ, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স, রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশন, জেনারেল মেকানিক, সিভিল কন্সট্রাকশন, প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিংস, উড ওয়ার্কিং, ইলেক্ট্রিক্যাল মেইনটেনেন্স ওয়ার্কসপ এবং ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন পরিদর্শন করেন।
দক্ষ জনশক্তি গড়ার পাশাপাশি প্রবাসে কর্মরত এবং প্রবাস ফেরত কর্মীদের ইউনিয়নভিত্তিক ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
বুধবার কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ র্কমর্কতা মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উক্ত কেন্দ্রের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন।
মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াকে দালালচক্র মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মোটিভেশনাল মিটিং করতে হবে। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ডাটাবেজ করে কোন দেশে কারা কর্মরত তা নিয়মিত হালনাগাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজার সভায় সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অটোমেটিক জেনারেল ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কসপ, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স, রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশন, জেনারেল মেকানিক, সিভিল কন্সট্রাকশন, প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিংস, উড ওয়ার্কিং, ইলেক্ট্রিক্যাল মেইনটেনেন্স ওয়ার্কসপ এবং ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন পরিদর্শন করেন।
চলুন জেনে নেয়া যাক কেন এভাবে হাত ছাড়া হলো বাংলাদেশীদের জন্য মালয়শিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পাস/প্রফেশনাল ভিসা তথা শ্রমবাজার।
সর্ব প্রথমেই বলতে হয় এখন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যাপক করুণ পরিস্থিতি অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের নিজ নিজ ধান্দায় সবাই এখন দিশেহারা।
মালয়েশিয়ার দুয়ার ভালোভাবে খুলতে গিয়ে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে গেল। মালয়েশিয়ায় জিটুজি পদ্ধতি ধরাশায়ী হওয়ার পরে এবার জিটুজি প্লাস চুক্তি স্বাক্ষরের পরের দিনই বন্ধ হয়ে যায়। শুধু নতুন শ্রমিক নেওয়া বন্ধই নয়, দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদেরও ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশির কোন প্রকার কাগজ-পত্র নেই। তারা সবাই অবৈধভাবে দেশটিতে রয়েছে।
চুক্তি সম্পাদনের আগেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। তাদের অভিযোগ, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি না করে গুটিকয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর হাতে পুরো ক্ষমতা তুলে দেয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেট তৈরির তৎপরতা রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বায়রা। একইসঙ্গে সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে চিঠি দিয়েছে প্রতিকার চেয়ে চুক্তির আগ মুহূর্তে।
অসহযোগিতাসহ অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ থেকে ২০০৯ সালে জনবল নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। সে গিট খুলে ২০১২ সালে। সরকারিভাবে জি-টু-জি পদ্ধতিতে শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় ঢাকঢোল পিটিয়ে বল হয়েছিল মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ লোক নিবে। প্রতি ৬ মাসে ৫০ হাজার লোক নিবে মালয়েশিয়া। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত ৩ বছরে প্রায় দশ হাজারের মত লোক এ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় গেছে। জি টু জি ব্যর্থতার পর আসে বি টু বি অর্থাৎ বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রফতানির আলোচনা। বেশ হাঁক-ডাকও দেয়া হয়। ‘হয়ে যাচ্ছে বি টু বি’ চুক্তি- এমন পর্যায়ে এসে হঠাৎ ঘোষণা দেয়া হয়, বি টু বি নয় জি টু জি প্লাস চুক্তি হবে। জি টু জি প্লাস কি এবং এটি কীভাবে প্রতিপালন করা হবে তা বুঝতেই কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। অবশেষে আসে চুক্তির ক্ষণ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত শ্রমিক নেওয়া সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে ৫ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নিবে মালয়েশিয়া। এ মর্মে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু বিধি বাম, পরের দিনই ১৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ায় ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম বললেন, ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার খবর বা চুক্তি সঠিক নয়। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, বিদেশে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশে এমন নিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ। বাংলাদেশের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোতে এরা নিবন্ধিত। এসব শ্রমিক মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে বা কাজ করতে আগ্রহী। তাই তাদের নাম নিবন্ধিত করেছে বাংলাদেশের জনশক্তি ব্যুরো। বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া- এমন কোনো কথা চুক্তিতে নেই এবং এ ব্যাপারে কোনো মৌখিক প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়নি বলে মালয়েশীয় মন্ত্রী তাদের দেশে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
ঢাকা ও কুয়ালামপুর চুক্তির ব্যাপারে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম আরো বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনে শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে একটি সমঝোতায় উপনীত হয়েছে এবং একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে মাত্র।
ঘোষণার পরের দিনই মালয়েশিয়ান দূতাবাস অনুমতিপত্র (এমপ্লয়মেন্ট পাস) বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিকদের প্রফেশনাল ভিসার অনুমতিপত্র বা এমপ্লয়মেন্ট পাস দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে জানায়, দূতাবাসের ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ভিএলএন। ভিএলএন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মালয়েশিয়া বিদেশী শ্রমিক নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করায় এখন থেকে আর কোনো এমপ্লয়মেন্ট পাস দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এরপর শুরু হয় অবৈধ শ্রমিক ব্যাপকহারে ধরপাকড়, যা এখনো চলছে।
এখন প্রশ্ন হলো, যদি চুক্তি না-ই থাকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার কথা, তাহলে কেন আমাদের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা এমন মিথ্যা ঘোষণা ও ভাওতাবাজির আশ্রয় নিলেন? তারা কি ধোঁকাবাজ আদম ব্যাপারি সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে এ ডাহা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন? তারা কি জানেন না এ মিথ্যা প্রচারণাকে ব্যবহার করে সারা দেশের লাখ লাখ নিরীহ মানুষকে পথে বসানোর পাঁয়তারা করছিল ধোঁকাবাজ আদম ব্যাপারিরা?
গোপন সূত্রগুলো বলছে, মালয়েশিয়া মূলত দুটি কারণে চুক্তি করেও সরে এসেছে, এমনকি শ্রমিক নেয়াই পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। প্রথমত. তারা দেখতে পেরেছে, শ্রমিক নেয়ার এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, রেষারেষি এবং অনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার নেতিবাচক প্রভাব মালয়েশিয়াতেও পড়ছিল। দ্বিতীয়ত. তাদের জন্য বড় বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিচ্ছিল ১৫ লাখ শ্রমিকের মিথ্যা প্রচারণাটি। তাদের দেশে, এমনকি সরকারের মধ্যেও এ নিয়ে নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। খোদ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেই এমন মিথ্যা প্রচারণা চালানোয় তারা চরমভাবে আশঙ্কিত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি বিক্রি করে আদম ব্যাপারিদের টাকা দেবে। যখন বৈধ পথে নেয়া যাবে না, আদম ব্যাপারিরা নানা অবৈধ উপায়ে এদেরকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। যা এক পর্যায়ে বিপজ্জনক হয়ে দেখা দেবে। এইসব বিবেচনা করেই মালয়েশিয়া সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। এতে বাংলাদেশের ‘আমও গেল, ছালাও গেল’ বলা যায়। যার পুরো দায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিদের।
আশা করি পরবর্তি আপডেট এর জন্য সাথেই থাকবেন
No comments:
Post a Comment